Class 6 History Chapter 3 Wbbse

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা -  পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড অনুশীলনীর সকল প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো।

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস

তৃতীয় অধ্যায়

ভেবে দেখো   খুঁজে দেখো 


১। বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো :

১.১) তামা, কাঁসা, পাথর, লোহা 

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল - পাথর।


১.২) ঘোড়া, হাতি, গন্ডার, ষাঁড়।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল - ঘোড়া।


১.৩) কালিবঙ্গান, মেহেরগড়, বানাওয়ালি, ঢোলাবিরা।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল - মেহেরগড়।


২। নিচের বাক্যগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল লেখ :

২.১) লিপির ব্যবহার সভ্যতার একটি বৈশিষ্ট্য। 

উত্তর - লিপির ব্যবহার সভ্যতার একটি বৈশিষ্ট্য - ঠিক 


২.২) মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি। 

উত্তর - মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি - ভুল 

২.৩) হরপ্পা সভ্যতা প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা। 

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতা প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা - ভুল


২.৪) হরপ্পার মানুষ লিখতে জানতেন।

উত্তর - হরপ্পার মানুষ লিখতে জানতেন - ঠিক



৩। সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

৩.১) হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘর গুলি তৈরি হতো --- (পাথর দিয়ে / পোড়া ইট দিয়ে / কাঠ দিয়ে)।

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘর গুলি তৈরি হতো --- পোড়া ইট দিয়ে।


৩.২) হরপ্পা সভ্যতা ছিল ---- ( পাথরের যুগের/ লোহার যুগের/ তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের) সভ্যতা।

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতা ছিল ---- তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা।


৩.৩) ভারতীয় উপমহাদেশে হরপ্পাতেই ----- ( প্রথম নগর / প্রথম গ্রাম / দ্বিতীয় নগর) দেখা গিয়েছিল।

উত্তর - ভারতীয় উপমহাদেশে হরপ্পাতেই ----- প্রথম নগর দেখা গিয়েছিল।


অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 

৪) মেহেরগড় কোথায় অবস্থিত ? 

উত্তর - মেহেরগড় পাকিস্তানের বেলুসিস্থান প্রদেশে অবস্থিত। 


৫) কত সালে কে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ? 

উত্তর - ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে জা ফ্রাঁসোয়া জারিজ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন। 


৬) কে কত সালে মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কার করেন ? 

উত্তর - ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় মহেঞ্জোদারো সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার করেন। 


৭) কে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার করেন। 

উত্তর - দয়ারাম সাহানি পাঞ্জাবের মন্টগোমারী জেলায় হরপ্পা সভ্যতা নিদর্শন আবিষ্কার করেন।


৮) মহেঞ্জোদারো কথার অর্থ কি ? 

উত্তর - মহেঞ্জোদারো কথার অর্থ হলো মৃতের স্তুপ। 


৯) মেহেরগড় কে তামা পাথরের যুগের সভ্যতা বলা হয় কেন ?
 
উত্তর - মেহেরগড়ের মানুষ তামা ও পাথরের ব্যবহার জানতো বলে একে তামা পাথরের যুগের সভ্যতা বলা হয়।


১০) মেহেরগড়ের মানুষ কোন ধাতুর ব্যবহার জানতো না ? 

উত্তর - মেহেরগড়ের মানুষ লোহার ব্যবহার জানতো না। 


১১) হরপ্পার মানুষ কিসের পূজা করত ? 

উত্তর - হরপ্পার মানুষ গাছপালা ও জীবজন্তুর পূজা করত। 


১২) ভারতীয় উপমহাদেশের কোন সভ্যতাতে প্রথম নগরায়ন গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর - ভারতীয় উপমহাদেশের হরপ্পা সভ্যতাতে প্রথম নগরায়ন গড়ে ওঠে।


১৩) মেহেরগড় সভ্যতা কোন যুগের ?

উত্তর - মেহেরগড় সভ্যতা নতুন প্রস্তর যুগের। 


১৪) হরপ্পা সভ্যতার যুগে একটি প্রধান বন্দরের নাম লেখ ? 

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার একটি প্রধান বন্দর হল লোথাল। 


১৫) হরপ্পা সভ্যতার প্রধান উপাস্য দেবতার নাম কি ?

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পশুপতি মহাদেব। 


শূন্যস্থান পূরণ করো:

১) হরপ্পার লিপি ছিল _________ 

উত্তর - হরপ্পার লিপি ছিল সাংকেতিক। 


২) মেহেরগড় ছিল একটি _______ সভ্যতা।

উত্তর - মেহেরগড় ছিল একটি গ্রামীণ কৃষি সভ্যতা। 


৩) সিন্ধু সভ্যতার সবথেকে বড় কেন্দ্র হল ______ 

উত্তর - সিন্ধু সভ্যতার সবথেকে বড় কেন্দ্র হল হরপ্পা। 


৪) হরপ্পার নগরগুলির উচু এলাকার নাম ছিল ______

উত্তর - হরপ্পার নগরগুলির উঁচু এলাকার নাম ছিল সিটাডেল


৫) হরপ্পা সভ্যতার _______ টি সীলমোহর পাওয়া গেছে।

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার ২৩ টি সীলমোহর পাওয়া গেছে। 


৬)______ এর ব্যবহার হরপ্পার মানুষ জানতো না। 

উত্তর - লোহার ব্যবহার হরপ্পার মানুষ জানতো না। 

৭) নতুন পাথরের যুগের শেষের দিকে_______ এর ব্যবহার শুরু হয়।

উত্তর - নতুন পাথরের যুগের শেষের দিকে চাকার ব্যবহার শুরু হয়। 


নিজের ভাষায় লেখো :

১) সিন্ধু নদীর তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি কেন গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর - সিন্ধু নদী ছিল হরপ্পা সভ্যতার প্রধান জলের উৎস। হরপ্পা সভ্যতা কৃষি নির্ভর ছিল। তাই কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় জল সিন্ধুনদ থেকেই পাওয়া যেত। এছাড়াও স্নানাগার জল নিকাশি ব্যবস্থা সব কিছুর জন্য সিন্ধু নদের প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। তাই হরপ্পা সভ্যতার শহর গুলি সিন্ধু নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।


২) হরপ্পা সভ্যতায় কি ধরনের বাড়িঘর পাওয়া গেছে ? সেগুলোতে কারা থাকতেন বলে মনে হয় ?

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতায় শহরে বস্তি নির্মাণের জন্য দুটি অংশ ছিল। একটি উঁচু এলাকা যাকে সিটাডেল বলা হতো। এই এলাকাটি একটা বানানো ডিপির উপর অবস্থিত ছিল। সাধারণত ঢিবিটি আয়তাকার হত। এখানে বানানো হতো জরুরি ইমারত। সেগুলি সাধারণ মানুষের থাকার বাড়ি হত না। এখানে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা থাকতেন। নগরের প্রধান বসতি এলাকাটা নিচু অঞ্চলে থাকতো। ওই অঞ্চলে ইমারত গুলির মধ্যে বেশিরভাগ বসতবাড়ি ছিল। বাড়িগুলি পুরা ইটের ছিল এবং তাতে কয়েকটি তলাও ছিল। বাড়িতে সিড়িও ছিল। প্রতিটি বাড়িতে রান্না ঘর ও শৌচাগার ছিল। 


৩) হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা কেমন ছিল ?

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটি ছিল এক অতি উন্নত নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার দুটি প্রধান দিক ছিল। প্রত্যেকটি নগর দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত ছিল। উচু ঢিপির উপর দুর্গ নির্মাণ করা হতো। শাসক শ্রেণীর লোকেরা দুর্গের অভ্যন্তরে বসবাস করতেন আর নগর দুর্গের নিচে অবস্থিত উপনগরীতে ছিল সাধারণ মানুষের বসবাস। হরপ্পা সভ্যতার প্রতিটি শহর ৩ থেকে ১০ মিটার চওড়া রাজপথ দ্বারা কয়েকটি অংশে বিভক্ত ছিল। গলি পথগুলি ছিল বড় রাস্তার সঙ্গে যুক্ত। এই গলি পথের দুপাশে বসতবাড়ি ছিল। এই বাড়িগুলির অধিকাংশই পোড়া ইট দিয়ে তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে স্নানাগার কুয়ো ও নর্দমার ব্যবস্থা ছিল। হরপ্পা সভ্যতার নগর গুলোতে বাড়ির ভেতর থেকে জল নিকাশের জন্য শাখা নর্দমা থাকতো যা সদর রাস্তার বাঁধানো প্রদান নর্দমার সঙ্গে যুক্ত থাকতো। হরপ্পা নগরীর শস্যাগার ও মহেঞ্জোদারোর স্নানাগার দুটি ছিল হরপ্পা সভ্যতার সেরা নির্মাণশৈলী। 


৪) মহেঞ্জোদারোর জলধারা সম্পর্কে কি জানো ?

উত্তর - মহেঞ্জোদারোর উচ্চ এলাকায় একটি বড় আয়তাকার জলধারা পাওয়া গেছে। জলধারা টি পাকা ইটের তৈরি। জলধারা টি ব্যবহার করার জন্য চারপাশ পাকা ইটে বাধানো রয়েছে এবং উঠানামার জন্য পোড়া ইটের তৈরি সিঁড়ি আছে। জলাশয়টিতে বাইরের জল ঢোকা বন্ধ করা হয়েছিল। আবার অতিরিক্ত জল বার করে দেওয়াও যেত। জল পরিষ্কার করার ব্যবস্থাও ছিল। 


৫) হরপ্পা সভ্যতার সমাজ জীবন কেমন ছিল ?

উত্তর - হরপ্পা মহেঞ্জোদার কেন্দ্রে ছিলেন একজন পুরোহিত রাজা। বিভক্ত সমাজ ছিল হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। সেই যুগে সমাজে তিন শ্রেণীর মানুষের অস্তিত্ব ছিল, যথা- বৃত্তশালী শাসক গোষ্ঠী, ধনী ব্যবসায়ী এবং দরিদ্র শ্রমিক কারিগর শ্রেণী। হরপ্পার সমাজে পুরোহিতদের খুবই প্রতিপত্তি ছিল। ধান, গম, যব, বার্লি নানান ধরনের বাদাম করাইশুটি, খেজুর, দুধ, মাংস, মাছ ও ডিম প্রভৃতি ছিল হরপ্পার আদিবাসীদের প্রধান খাদ্য। এই যুগে পোশাক পরিচ্ছেদের জন্য প্রধানত সুতি ও পসম ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও সোনা রুপা তামা ও হাতির দাঁতের তৈরি অলংকার ব্যবহার করা হতো। গৃস্থলীর কাজের জন্য ধাতু ও পোড়ামাটি তৈরি বাসনপত্র কলসি থালা বাটি প্রভৃতি ব্যবহার করতেন। 


৬) হরপ্পা সভ্যতার মানুষদের ধর্মীয় জীবন কেমন ছিল ? 

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার একটি সিলমোরে ত্রিমুখ বিশিষ্ট এবং জীবজন্তু পরিবেষ্টিত যোগী মূর্তি পাওয়া গেছে। অনেক ঐতিহাসিক পশুপতি শিব আদি শিব বলে অভিহিত করেছেন। এই সভ্যতার প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পশুপতি মহাদেব। হরপ্পবাসীরা দেবদেবীর পাশাপাশি গাছপালা জীবজন্তু সাপ জল নদ নদী পশুপাখির এবং সূর্যের উপাসনা করতেন। হরপ্পবাসী পরলক্ষে বিশ্বাস করতেন। 


৭) হরপ্পা সভ্যতার মানুষদের অর্থনৈতিক জীবন কেমন ছিল ?

উত্তর - হরপ্পা সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবনে তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল|যেমন - 

(i) কৃষি ও পশুপালন :- নগরকেন্দ্রিক হলেও হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও পশু পালন। শহর গুলির বাইরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কৃষি কার্যের প্রচলন ছিল। এ যুগে গৃহপালিত পশু হিসেবে গরু ষাঁড়  মহিষ ভেড়া কুকুর প্রভৃতি প্রতিপালন করা হতো।


ii) শিল্প :- হরপ্পা সভ্যতা ছিল তাম্র প্রস্তর যুগের সমসাময়িক । টিনের সঙ্গে তামার মিশ্রণ ঘটিয়ে প্রস্তুত ব্রান্স দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তৈরি হতো। সে যুগে লোহার ব্যবহার প্রচলিত ছিল না। বস্ত্রশিল্প মৃৎশিল্প ও রঞ্জন শিল্পী হরপ্পবাসীরা উন্নত ছিল।


iii) ব্যবসা-বাণিজ্য :- ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল নগরকেন্দ্রিক হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন স্থান সৌরাষ্ট্র কাশ্মীর বালুশিস্তান প্রভৃতি অঞ্চল এবং মিশর পারস্য সুমের প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলো থেকে প্রধানত তুলো ও সুতিবস্ত হাতির দাঁতের তৈরি জিনিসপত্র মনি মুক্ত প্রভৃতিবিদেশে রপ্তানি করা হতো। অতিবস্ত্র ও তুলো ছিল হরপ্পা সভ্যতার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য।


৮) হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসের কারণ কি ?

উত্তর - প্রাকৃতিক ও আর্থসামাজিক বিপর্যয় এবং বৈদেশিক আক্রমণকেই হরপ্পা সভ্যতার পতনের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। যেমন:-

i) প্রাকৃতিক বিপর্যয় :- সিন্ধু নদীতে প্রবল বন্যা, মহেঞ্জোদারোর কাছে প্রবল ভূমিকম্প, কৃষির অবনতি, কৃষি ক্ষেত্রে সমুদ্রের জল প্রবেশ করায় চাষের জমিতে লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি, জলবায়ুর হঠাৎ পরিবর্তনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বনভূমিগুলির ধ্বংসপ্রাপ্তি ও কৃষির অবনতি ছিল হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসের অন্যতম কারণ। 


ii) আর্থসামাজিক কারণ :- পৌর প্রশাসকদের অযোগ্যতায় মহেঞ্জোদারো হরপ্পা প্রভৃতি বড় বড় নগরগুলি ক্রোমোশ বসাবাজের অযোগ্য হয়ে যায়। 


iii) বিদেশি আক্রমণ :- ক্রমাগত বিদেশী আক্রমণ ছিল হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসের অন্যতম কারণ। ঐতিহাসিক হুইলার এর মতে, এইসব আক্রমণকারীদের অনেকেই ছিল বৈদিক আর্য।


শেষ কথা ঃ- 

এই পোস্টে Class 6 History Chapter 3 থেকে প্রশ্ন উত্তর আলচনা করা হলো। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আসার মতো প্রশ্ন উত্তর আপডেট দেওয়া হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url